WASHINGTON (Reuters) – Američtí představitelé se mají v Saúdské Arábii setkat s vyjednavači Ukrajiny a Ruska, aby projednali podrobnosti navrhovaného 30denního příměří ohledně úderů na energetickou infrastrukturu a také dlouhodobější mírovou dohodu.
Ruští a ukrajinští vyjednavači nebudou ve stejné místnosti. Úředníci vyslaní Kyjevem se mají s americkým týmem setkat v Rijádu v neděli večer. V pondělí by měly následovat rozhovory mezi ruskými a americkými vyjednavači.
সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট কীভাবে যৌক্তিক হতে পারে, যখন সোমবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা অর্থনৈতিক প্রতিবেদনই প্রকাশিত হয়নি? হ্যাঁ, ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হয়েছিল... কিন্তু এটির ফলাফল প্রথম অনুমান থেকে কোনোভাবেই আলাদা ছিল না। এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) মুদ্রানীতিতে আর কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ ইসিবি ইতোমধ্যেই সাতবার সুদের হার কমিয়েছে এবং অষ্টমবারের মতো সুদের হার কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেকোনো অবস্থাতেই, মুদ্রানীতির নমনীয়করণ যা ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে, ইউরোর ক্ষেত্রে এটি বিয়ারিশ প্রবণতার কারণ হওয়া উচিত — অথচ সোমবার জুড়ে ইউরোর মূল্য বেড়েছে।
আমাদের বিশ্বাস, শুধুমাত্র মুডি'স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দেওয়ার খবরই নতুন করে ডলার বিক্রির কারণ হতে পারে। সত্যি বলতে, এটি তুলনামূলকভাবে একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন খবর — অন্যান্য বড় রেটিং সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেটিং কমিয়েছে। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের অন্যতম উচ্চ রেটিংধারী দেশ। তাই এটি কেবল একটি অজুহাত, যার সুযোগ নিয়ে ট্রেডাররা ডলার বিক্রি করেছে।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার দুইটি প্রায় নিখুঁত ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের শুরুতে, মূল্য 1.1198 এর লেভেল ব্রেক করে, যেখানে নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারত। এই ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম 1.1275–1.1292 জোনে শেষ হয়েছে, যেখান থেকে স্পষ্টভাবে একটি রিবাউন্ড পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পর্যায়ে, লং পজিশন ক্লোজ করে শর্ট পজিশন নেওয়া যেত। সোমবার এই দুটি ট্রেড থেকেই ট্রেডাররা 60–70 পিপস লাভ করতে পারত।
1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের প্রতি ট্রেডাররা এখনও নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। তবে ট্রাম্প যেহেতু বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা তিনি নিজেই শুরু করেছিলেন, যার মানে হলো শীঘ্রই ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। ডলারের মূল্য কতটা বাড়বে তা নির্ভর করবে কতোগুলো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয় এবং কত দ্রুত তা সম্পন্ন হয় তার ওপর। এছাড়াও ট্রাম্পের উচ্চমাত্রায় প্রভাবশালী সিদ্ধান্ত, যেমন পাওয়েলকে বরখাস্ত করা বা নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার মতো খবরগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
মঙ্গলবার মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। এখনো পর্যন্ত মৌলিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট কোনো প্রভাব রাখছে না, তাই ট্রেডারদের 1.1198 এবং 1.1275–1.1292 জোনের আশেপাশে সৃষ্ট মূল্যের মুভমেন্ট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য আমাদের এই লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.0940-1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132-1.1140, 1.1198, 1.1275-1.1292, 1.1413-1.1424, 1.1474-1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607-1.1622। মঙ্গলবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই আবারও মার্কেটে এক ধরনের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এবং স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার সম্ভাবনা রয়েছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।