যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল এবং কিছু সময় ধরে ওভারসোল্ড জোনে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1580 লেভেল টেস্ট করে। এই পরিস্থিতি ইউরোর বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য ২৫ পিপসের বেশি বৃদ্ধি পায়।
গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ওয়ালারের বক্তব্য মার্কিন ডলারের ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করে। তিনি আরও নমনীয় আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের পক্ষে মন্তব্য করেন, যার ফলে ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে যে, যদি তিনি ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান আরও ডোভিশ বা নমনীয় হয়ে উঠতে পারে।
ওয়ালারের অবস্থান এই পরিবর্তন মার্কেটে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এখন পর্যন্ত তাকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে "কঠোর নীতিমালার পক্ষে থাকা ফেড সদস্য" হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে তার সর্বশেষ মন্তব্য পূর্ববর্তী অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক মনে হওয়ায়, মার্কেটে ব্যাপকভাবে মার্কিন ডলারের বিক্রি শুরু হয়।
দিনের প্রথমার্ধে অক্টোবর মাসে ইউরোজোনের কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্স (ভোক্তা আস্থা সূচক) প্রকাশের কথা রয়েছে, যা ইউরোর মূল্যের ওপর খুব একটা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এই সূচকের পূর্বাভাসে ইতোমধ্যে আরও নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে, যা ইউরোপীয় ভোক্তাদের মধ্যকার হতাশাজনক মনোভাবকে আরও জোরালো করছে। তবে, এই সূচকটি ইউরোজোনের অর্থনীতির একটি বিশাল চিত্রের অংশ — তাই এটিকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা উচিত নয়। যদি ধারাবাহিকভাবে ভোক্তা আস্থা সূচকের পতন অব্যাহত থাকে, তা হলে এটি ইসিবির পক্ষ থেকে সম্ভাব্য নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য বাড়তি এক যুক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। যদি কোনো অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন না প্রকাশিত হয়, তাহলে কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1640 (গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1608-এর (চার্টে হালকা সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1640-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র গতকাল পরিলক্ষিত ডলারের দরপতনের সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1590-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1608 এবং 1.1640-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1590 (চার্টে হালকা লাল লাইন)-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1566-এ (চার্টে গাঢ় লাইন) যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1608-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1590 এবং 1.1566-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।