যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল, তখন EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেল টেস্ট করে—যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়ে 1.1562-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এখনো বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর উপর, বিশেষ করে ইউরোর উপর, প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে পৃথিবীর দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি, ইউরোর মূল্যের ভবিষ্যত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও হুমকির মুখে রয়েছে, কারণ যদি বাণিজ্য সংঘাত আরও গভীর হয়, তাহলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত আবার আর্থিক প্রণোদনামূলক অবস্থানে ফিরে যেতে বাধ্য হতে পারে।
আজ সকালে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—যার মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক এবং জার্মানির ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI)। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল কিছু সময়ের জন্য ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে, যদিও দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব সীমিত হতে পারে।
ZEW সূচকটি ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, যেটি বিশ্লেষক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মতামতকে প্রতিফলিত করে। যদি এই সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তা ব্যবসায়িক পরিস্থিতি আশাবাদ প্রতিফলিত করে এবং ইউরোর মূল্যের প্রতি সমর্থন বাড়াতে পারে। তবে এটা মনে রাখা জরুরি, এই সূচক মূলত অর্থনৈতিক বাস্তবতা নয় বরং সেন্টিমেন্ট বা অনুভূতিকে প্রতিফলিত করে।
জার্মানির CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক হলো ইউরো অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির প্রধান মুদ্রাস্ফীতি সূচক। এই সূচকের প্রকৃত ফলাফল যদি পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যায়, তাহলে এটি ইসিবির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI-এর দুর্বল ফলাফল ইউরোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এতে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা আরও বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1611-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1592-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1611-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্যের বুলিশ প্রবণতার প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1578-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1592 এবং 1.1611-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1578-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1558-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1592-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1578 এবং 1.1558-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।