MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1639-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। একই লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্ট করার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা এই পেয়ারের বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী ট্রেড বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 15 পিপস ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
খুব শিগগিরই বেশ কিছু অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের মাতরা, জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং অর্ডার এবং ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউরোজোনের জিডিপি পরিসংখ্যান। বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও, এ অঞ্চলের অর্থনীতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে সামান্য হলেও প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করবে। কর্মসংস্থানের হারও শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতা এবং ভোক্তা আস্থা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সম্পর্কিত প্রতিবেদন শিল্প খাতের অবস্থা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এর অবদানের মূল্যায়নে সহায়তা করবে। অর্ডার হ্রাস পেলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি মন্থর হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ইতালির খুচরা বিক্রয় সূচক দেশটির ভোক্তা ব্যয়ের প্রবণতা প্রতিফলিত করে। খুচরা বিক্রয় সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি সাধারণত ইতিবাচক অর্থনৈতিক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়, আর হ্রাস পেলে তা ভোক্তা আস্থা হ্রাস ও ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কেবলমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনগুলোর শক্তিশালী ফলাফলই ইউরোর দর বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। অন্যথায় সবাই মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1707-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1676-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1707-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1660-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1676 এবং 1.1707-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1660-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1633-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1676-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1660 এবং 1.1633-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।