যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1547 লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি সেই সময় ইউরো ক্রয় করা থেকে বিরত ছিলাম। অপরদিকে, মূল্য 1.1528 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রয় করার ফলে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল স্পষ্টভাবে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যার ফলে এটি আকর্ষণীয় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে অবস্থান হারাতে বসেছে। ট্রেডাররা আশঙ্কা করছেন যে ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর আর্থিক নীতিমালা এবং সাম্প্রতিক সরকারি শাটডাউনের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে মন্থর হয়ে যেতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি সত্ত্বেও ডলারকে একেবারে বাতিল হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। মার্কিন অর্থনীতি এখনো বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বাধিক স্থিতিশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। পাশাপাশি, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট স্থিতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিগত সরঞ্জামও বিদ্যমান।
আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) পক্ষ থেকে একটি আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার পর ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড-এর বক্তব্য নির্ধারিত রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ইউরোজোনভুক্ত দেশগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এমন মূল ঝুঁকিসমূহের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে—যার মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির সম্ভাব্য নতুন ঝুঁকি, বাণিজ্য শুল্ক, ও ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর লাগার্ডের বক্তব্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হবে, যার মাধ্যমে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত অবস্থান সম্পর্কে আরও বেশি ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তিনি বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইসিবি আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারে কিনা বা এর বিপরীতে নীতিমালা কিছুটা নমনীয় করতে প্রস্তুত কি না সে ব্যাপারে ধারণা পেতে ট্রেডাররা ঘনিষ্ঠভাবে এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি রাখবে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা ১ এবং ২ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1632-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1600-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1632-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1583-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1600 এবং 1.1632-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1583-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1554-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1600-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1583 এবং 1.1554-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।