সোমবার সামান্য অস্থিরতার মধ্যেই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে মার্কেটে যে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা গেছে, তা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠেনি, কারণ উল্লেখযোগ্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তবে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হয়েছে, যেটি একমাত্র অনুমান হিসেবেই প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনের গুরুত্ব যতই হোক না কেন, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পূর্বাভাস এবং প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য। আমরা জানতে পারলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতে আবারও চাপের মধ্যে পড়েছে, যদিও পূর্বাভাসে এই খাত সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখানো হয়েছিল। ফলে, প্রতিবেদনটির ফলাফল মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নেতিবাচক ছিল, যা সাধারণ পরিস্থিতিতে ডলারের দরপতন ঘটিয়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করার কথা। কিন্তু, এবার আমরা এই পেয়ারের মূল্যের কোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখিনি। সেই কারণে, আমরা আবারও আমাদের পাঠকদের এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক, এবং এমনটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আগের মতোই চলমান রয়েছে। অক্টোবর মাসেও আমরা খুবই সীমিত এবং পূর্বাভাসযোগ্য মুভমেন্ট দেখেতে পেয়েছি।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা এতটাই কম ছিল যে এই সিগন্যালগুলোর কোনোটিই প্রকৃত অর্থে মুনাফা দিতে পারেনি। আমরা পূর্বেও উল্লেখ করেছি, যদি কোনো দিনে এই পেয়ারের মূল্যের কেবলমাত্র 40 পিপসের মধ্যে মুভমেন্ট হয়, তাহলে ট্রেডিং সিগন্যাল যতই শক্তিশালীই হোক না কেন, মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই সীমিত। মার্কেটে এখনো কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো স্পষ্টভাবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকার ইঙ্গিত প-পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুকূল নয়। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মুদ্রা আরও দরপতন হতে পারে।
তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, যা থেকে বের হওয়ার পর পুনরায় একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3102-1.3107 এরিয়ার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেড করতে পারেন। এটি শুধুমাত্র একটি লেভেল নয়, বরং দৈনিক টাইমফ্রেমে সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানাও। এখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, কিন্তু যদি ক্রয়ের প্রবণতা কম থাকে, সেক্ষেত্রে মার্কেটে বিশেষ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে না।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। মঙ্গলবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধির খুব একটা প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতাভিত্তিক বা দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশ কম।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।