আজ শুক্রবার ইউরোপীয় সেশনে GBP/JPY ক্রস পেয়ার গতকালের দরপতন থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে এবং মূল্য 200.00-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের উপরে উঠছে, যদিও মার্কেটে দ্বন্দ্বপূর্ণ শক্তি কার্যকর রয়েছে। তিন সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেভেল থেকে মার্কিন ডলারের দরপতন ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিংকে (GBP) সহায়তা দিচ্ছে। আজ জাপান থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে টোকিওতে সেপ্টেম্বর মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে কম বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মার্কিন শুল্কের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের কারণে ব্যাংক অফ জাপান তাদের পরিকল্পিত সুদের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত করতে পারে—এমন সম্ভাবনা বাড়ছে। তবুও, বিনিয়োগকারীরা এখনো অক্টোবর মাসে ব্যাংক অফ জাপান কর্তৃক সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে মূল্যায়ন করছেন। এ বিষয়টি, বিশ্ববাজারে ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে মিলিয়ে, জাপানি ইয়েনের মতো নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদাকে সমর্থন করছে।
একই সময়ে, ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রেতারা নভেম্বর মাসের আসন্ন শরৎকালীন বাজেটের আগে যুক্তরাজ্যের রাজস্ব নীতিকে ঘিরে উদ্বেগের কারণে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী সম্ভাবনাকে সীমিত করছে আরেকটি বিষয়—ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বুধবারের বক্তব্যে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত, যেখানে তিনি সম্ভাব্যভাবে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই GBP/JPY পেয়ারের মূল্যের দীর্ঘস্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণাত্নকভাবে লং পজিশন ওপেন না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, দৈনিক চার্টের অসিলেটরগুলো পজিটিভ জোনে রয়েছে, এবং 9-দিনের EMA 14-দিনের EMA-এর উপরে অবস্থান করছে—যা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ মোমেন্টাম নিশ্চিত করছে।
GBP/JPY পেয়ারের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 200.35 লেভেলে অবস্থিত। এই লেভেল ব্রেকআউট করলে 200.75-এ সামান্য রেজিস্ট্যান্স অতিক্রম করে মূল সাইকোলজিক্যাল লেভেল 201.00-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
অন্যদিকে, এই পেয়ারের সাপোর্ট 199.70 লেভেলে অবস্থান করছে। এই লেভেলের নিচে নামলে মূল্য 199.40-এর সাপোর্টে নেমে যেতে পারে। আরও দরপতন হলে এই পেয়ারের মূল্যের 199.00 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে—যার নিচে নেমে গেলে সামগ্রিক পরিস্থিতি এই পেয়ারের বিক্রেতাদের পক্ষে চলে যাবে।