যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1712-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। একই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্ট ঘটার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড এরিয়াতে প্রবেশ করেছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ দেয় এবং এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপস বৃদ্ধি পায়।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচকের অপ্রত্যাশিত পতনের কারণে মার্কিন ডলার চাপের মুখে পড়েছিল। এই সূচক, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে, 58-এ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বিপরীতে 55-এ নেমে আসে, যা ভবিষ্যতে ভোক্তা ব্যয় হ্রাসের আশঙ্কা সৃষ্টি করে। এর ফলে ডলারের দরপতন হয়। তবে সাময়িক এই দরপতন সত্ত্বেও সূচকটির দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক রয়েছে, এবং ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট আগামীকাল প্রকাশিতব্য ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা নির্ধারিত হবে।
আজকের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কেবল ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালেন্স এবং বুন্ডেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এমনকি এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলেও সেই প্রভাবে ইউরোর বড় ধরনের দরপতন ঘটার সম্ভাবনা কম। পরে ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। যদি ট্রেড ব্যালেন্সের ফলাফলে আরও অবনতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে এটি ইউরোপীয় অর্থনীতির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সক্ষমতা এবং বহিরাগত ধাক্কা মোকাবেলার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে—বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নতুন বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করার পর। বিশেষ নজর থাকবে জ্বালানি আমদানি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের ওপর, যা ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালেন্সে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে, বুন্ডেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদন দিয়ে জার্মানির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিস্তারিত মূল্যায়ন করা যা, যা গোটা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচিত হয়। মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে বুন্ডেসব্যাংকের মন্তব্য স্বল্পমেয়াদে ইউরোর মূল্যের ওঠানামায় প্রভাব ফেলতে পারে, তবে মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতির বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটানোর সম্ভাবনা কম।
নিঃসন্দেহে আজকের প্রধান ইভেন্ট হচ্ছে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য। ইসিবির ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার কৌশল সম্পর্কিত যেকোনো সংকেত পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীরা তার মন্তব্য সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং #2 কার্যকর করার দিকে বেশি গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1772-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1738-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1772-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করার কথা বিবেচনা করুন। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1722-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1738 এবং 1.1772-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1722-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1691-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1738-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1722 এবং 1.1691-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।