যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.0374 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। দ্বিতীয়বার 1.0374 লেভেল টেস্ট কিছুক্ষণ পরেই ঘটে, সেসময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল। এর ফলে, পরিকল্পনা #2 কার্যকর করা যায়—যেখানে সারাদিন ধরে চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি শর্ট ট্রেড ওপেন করা হয়েছিল। তবে, ১১ পিপস পতনের পর বিক্রির চাপ কমে যায় এবং এই পেয়ারের মূল্যের কারেকটিভ মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হয়।
সাম্প্রতিক মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করেছে। এর পাশাপাশি, ফেডারেল রিজার্ভ সদস্যদের মন্তব্য, যেখানে তারা সুদের হার আরও কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন, এটি ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই বিষয়গুলো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করেছে, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রানীতি নমনীয়করণ সংক্রান্ত প্রত্যাশা ইউরোর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জার্মানির অর্থনীতি একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সরবরাহ ঘাটতি এবং জ্বালানির উচ্চ ব্যয়। এই কারণগুলো আজকের শিল্প উৎপাদন ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অন্যতম সূচক হিসেবে কাজ করবে। দুর্বল ফলাফল, বিশেষত যদি তা পূর্বাভাসের চেয়ে কম হয়, তাহলে ফরেক্স মার্কেটে ইউরো বিক্রয়ের আরেকটি চাপ শুরু হতে পারে। ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি জার্মানি এবং ফ্রান্সে বাণিজ্য ঘাটতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তাহলে ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে, কারণ এটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দুর্বলতা এবং রপ্তানি চাহিদার নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করবে। এছাড়া, ট্রাম্পের নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপের হুমকি ইউরোর মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্টকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
আজকের ট্রেডিং কৌশল মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2-এর ওপর নির্ভর করবে।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0413-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0387-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0413-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পরে আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0371-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0387 এবং 1.0413-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0371-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0345-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0387-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0371 এবং 1.0345-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।