যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1633 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এবং অভ্যন্তরীণভাবে ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধ মার্কিন ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) সদস্যদের পরস্পরবিরোধী বিবৃতির ফলে ফেডের আর্থিক নীতিমালার ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা ট্রেডারদের ডলারের লং পজিশন ওপেন করতে নিরুৎসাহিত করছে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত এই অস্পষ্টতা মার্কিন কারেন্সিকে আরও বেশি অস্থির করে তুলছে এবং স্থিতিশীলতা ও পূর্বাভাসের উপর নির্ভর করা বিনিয়োগকারীদের কাছে ডলারকে কম আকর্ষণীয় করে তুলছে।
আজকের সেশনের প্রথমার্ধে, ইউরোর দর ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে এই পরিবর্তন বাস্তবায়নের জন্য ইউরোজোনের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, শ্রমবাজারের প্রবণতা এবং বহির্বাণিজ্য উদ্বৃত্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল আবশ্যক।
জিডিপি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল অঞ্চলটির স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করবে, যা ইউরোর মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্কের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় অর্থনীতির সফলভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়ার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করবে, যার ফলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) পক্ষ থেকে আগ্রাসী আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করার প্রয়োজন কমে যাবে।
শ্রমবাজারের ইতিবাচক প্রবণতাও ইউরোর পক্ষে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বেকারত্বের হার কমে গেলে এবং কর্মসংস্থানে বৃদ্ধির ফলে ভোক্তা ব্যয় ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়াতে সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি হবে, যা ইউরোর জন্য সহায়টা হিসেবে কাজ করবে। শ্রমবাজারের অবস্থা যে কোনো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
তবে, বহির্বাণিজ্য উদ্বৃত্ত সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকায় এটি ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতাকে কিছুটা সীমিত করতে পারে।
দৈনিক কৌশল বিবেচনায় আমি মূলত পরিকল্পনা ১ এবং ২ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1681-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1652-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে পারেন। মূল্য 1.1681-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1635-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরোর লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1652 এবং 1.1681-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1635-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1614-এর লেভেল যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1652-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1635 এবং 1.1614-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
